প্রকাশিত: Mon, Aug 21, 2023 2:25 PM
আপডেট: Sun, Jun 29, 2025 2:49 PM

[১]তীব্র আকার ধারণ করছে তিস্তার ভাঙন [২]নদীতে বিলীন বসতবাড়ি-ফসলি জমি

মামুনুর রশিদ, শাহনাজ পারভীন: [৩] লালমনিরহাটের তিস্তানদী তৃতীয় পর্যায়ে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। কয়েক দফা বন্যার পর তিস্তার পানি নেমে যাওয়ায় জেলার বেশ কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নদী পাড়ের মানুষজন।

[৪]হুমকির মুখে রয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করছে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না।

[৫]লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ বাগডোরা, আদিতমারী উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি ও হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না গড্ডিমারি এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। এছাড়া তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকার কমপক্ষে ২০টি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে ভাঙন।

[৬] কয়েক’শ বসতভিটা, ফসলি জমি, গাছপালা ও বিভিন্ন স্থাপনা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে মসজিদ,মন্দির,  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

[৭]লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, দ্বিতীয় দফায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর এখন কমতে শুরু করছে। এতে করে লালমনিরহাট সদর উপজেলা ও আদিতমারী উপজেলার কয়েকটি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে ভাঙন। তবে ভাঙন ঠেকাতে আপদকালীন কাজ হিসেবে বিভিন্ন পয়েন্টে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

[৮]কুড়িগ্রামের উলিপুরের বজরা, চিলমারীর শাখাতি মনতলা ও গাজির পাড়া এলাকায় ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা ভাঙনে শতাধিক ভিটেমাটি বিলীন হয়েছে। 

[৯]চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে শাখাহাতি, মনতলা ও গাঁজির পাড়া এলাকায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়। বিষয়টি আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েছি। 

[১০]কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়নের বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রকল্পের বরাদ্দ না থাকায় তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রে ভাঙনরোধে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান